Saturday, May 9, 2020

COVID-19 mystery (in Bengali)

।। করোনা রহস্য ।।

পৃথিবী এখন এক উন্মত্ত ধ্বংস লীলায় মেতেছে। প্রকৃতি যেন ক্ষুধার্ত বাঘের মতই একটা একটা করে মানুষের জীবন কেড়ে নেওয়ার উন্মাদনায় ব্যাস্ত। সব দিকে এখন হাহাকার শুধু বেঁচে থাকার লড়াই করতে। স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় এক অদ্ভুত ছন্দ পতন। আগ্রাসী ঝড়ের দাপট শুরু হওয়ার আগে যে নিস্তব্ধতা চারিদিক অন্ধকার করে রাখে। আমরাও যেন সেই অন্ধকারের পথিক এখন। সাক্ষী থাকছি বিশ্বের সব থেকে ভয়ানক এক মহামারীর, প্রকৃতির এক অদ্ভুত হত্যালীলার। 

বিশ্ব জুড়ে করোনা সংক্রমণের আকাশ ছোঁয়া সংখ্যা ও পরিণতি দেখে আমরা প্রত্যেকেই এখন আতঙ্কিত। একটু একটু করে এই সর্বগ্রাসী রোগ মহামারীর আকার নিয়ে এখন সারা বিশ্বের মানুষ কে গৃহবন্দী করেছে। এই নতুন রোগের সম্পর্কে জানার চেষ্টায় কিছু তথ্য খুঁজে পেলাম। এই রোগের সূত্রপাত, কি ভাবে তা ছড়িয়ে পরল সবার অতর্কিতে। আর কিভাবে একটি সামান্য ভাইরাস সারা পৃথিবীর চিকিৎসা বিজ্ঞান কে একটা বড় প্রশ্নের সম্মুখে এনে দিয়েছে। আদৌ কি আমরা পেরেছি প্রকৃতির সব রহস্য সমাধান করতে?


ঘটনার সূত্রপাত চীন দেশের হুবেই প্রদেশের অন্তর্গত উহান শহরে। সময়টা ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি। শীতকালে খুব স্বাভাবিক নিয়মেই জ্বর ও শ্বাস কষ্টের রুগীর সংখ্যা বাড়ে। উহান শহরেও তার ব্যাতিক্রম নয়। গোলযোগ বাধল রুগীর চিকিৎসা করতে গিয়ে। ১২ই December,২০১৯ এ প্রথম একজন জ্বরের রুগীকে দিয়ে সূত্রপাত। সেই থেকে ২৫শে জানুয়ারি,২০২০। মাত্র এক মাসের মধ্যে এই নতুন জ্বরের রুগীর সংখ্যা হয়ে দাঁড়ায় ১৯৭৫জন মানুষ। এদের মধ্যে অধিকাংশ রুগী মধ্য বয়স্ক। মৃত্যুর হার প্রায় শতকরা তিন ভাগ।

Coronavirus Statistics on Screen

রোগের রকমফের দেখে ডাক্তারদের মনে সন্দেহ হয়। ইতিমধ্যে তারা ২০০২-২০০৫ শালের SARS রোগের ইতিহাস ভুলতে পারেনি। প্রথম দিকে এই রোগের প্রভাব ও রুগীর সংখ্যা বৃদ্ধি দেখে তারা আন্দাজ করেছিলো SARS বা করোনা রোগ আবার ফিরে এসেছে। সেই সময়ের চিকিৎসা পদ্ধতি অনুকরণ করতে গিয়ে বিফল হওয়ায় ডাক্তারদের মনে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়। অনুসন্ধান করে জানা যায়, সব রুগীর একটি বিশেষ জায়গায় যাতায়াত ছিল। আর সম্ভবত সংক্রমণের উৎস স্থল সেখানেই। উহান শহরের মূল অংশে একটি বাজার (Wuhan Seafood Market) কে চিহ্নিত করা হয় এই রোগের উৎস স্থল হিসেবে। যেমন ভাবা সঙ্গে সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় উহান শহরের সবচেয়ে ব্যাস্ত বাজারকে।


২৬শে ডিসেম্বর,২০১৯। সদ্য শেষ হওয়া বড়দিনের আমেজ মাখা শহরে একটা আতঙ্কের আভাস। কিন্তু খবরের কাগজ বা ডিজিটাল মাধ্যমে তখনও নতুন রোগের বিষয়ে কোন আলোচনা সেই অর্থে শুরু হয়নি। উহান শহরের সেন্ট্রাল হাসপাতালে একজন মধ্য বয়স্ক পুরুষ ভর্তি হলেন। ভদ্রলোকের মূল সমস্যা ছিল শ্বাস কষ্ট, জ্বর আর শুকনো কাশি। উহান বাজারের সাথে সম্পর্ক রয়েছে দেখে অপেক্ষা করেনি ডাক্তাররা। শুরু হল নতুন রোগের অনুসন্ধানের কাজ। সেই প্রথম এই রুগীর থেকে স্যাম্পেল কালেক্ট করা হয় Broncho-Alveolar Lavage Fluid (BALF) পরীক্ষার জন্য। ইতিমধ্যে রুগীর শরীরে অন্যান্য পরিক্ষাও করা হয়েছে। বুকের X-Ray তে দেখা যাচ্ছ air space shadowing বা Ground glass opacity। CT Scan এ দেখা যাচ্ছে bilateral focal consolidation, lobar consolidation and patchy consolidation of lower lungs। রুগীর কিন্তু লিভার সংক্রান্ত, বা হার্ট সংক্রান্ত বা অন্যান্য কোন অসুখ নেই। রুগীর Tuberculosis হয়েছিল এমন কোন তথ্য নেই। রক্তের নমুনা পরিক্ষা করে দেখা গেল অন্যান্য infection হলে রক্তের শ্বেত কণিকার সংখ্যায় (WBC count) যে পরিবর্তন হয় তা আদৌ নেই। শুধু c-Reactive protein ও অন্যান্য কিছু নমুনায় সামান্য পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। এদিকে তার রক্তে অক্সিজেন এর মাত্রা 67mm of Hg (Oxygen saturation) নেমে এসেছে। মাত্র তিন দিনের মধ্যেই রুগীর শ্বাস কষ্ট, বুক ব্যাথা আর দুর্বলতা বেড়েছে। নিউমোনিয়া আর সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে পরীক্ষা করে দেখা গেল সব নেগেটিভ। influenza virus, Chlamydia pneumoniae, Mycoplasma pneumoiae এর পরীক্ষা quantitative PCR test (qPCR) এর মাধ্যমে করা হয়।  Antibiotics, Antiviral, GlucoCorticoids ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা শুরু করলেও রুগী ক্রমাগত শারীরিক অবনতি শুরু হয় এবং তাকে high flow non invasive ventilation দিতে হয়। ৩ দিন অব্দি ventilation থেকেও রুগীর কোন রকম উন্নতি না হওয়ায় তাকে অন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই রোগের প্রভাব সম্পর্কে কোন রকম সঠিক দিশা না পেয়ে শেষে, Broncho Alveolar Lavage Fluid এর sample এ কাজ শুরু হল।

 Metagenomic RNA sequencing এর পরীক্ষায় ধরা পরল একটি নতুন RNA ভাইরাসের অস্তিত্ব। সাংহাই এর ল্যাবে এর নাম দেওয়া হল, WUHAN Human Virus 1 বা “2019-nCoV”। Phylogenetic tree বিন্যাসের মাধ্যমে দেখা গেল এই ভাইরাসের জীনের সাথে SARS ভাইরাস এর ৮৯% সাদৃশ্য রয়েছে। ভাইরাস টি নিজের কাঠামো গত পরিবর্তন করে সক্ষম হয়েছে নিজের সংক্রমণের পদ্ধতি আর প্রভাব বাড়াতে। এই ভাইরাসের মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণের ক্ষমতা এখন অনেক বেশী। 

সাংহাই শহরের Level-iii গবেষণাগারে শুরু হল পরীক্ষা করা। রুগীর থেকে নেওয়া Brocho Alveolar Lavage Fluid (BALF)  এর meta-transcriptomic sequencing  করে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী দেখা গেল এই নতুন ভাইরাসের সাথে SARS like Corona Virus (BatSL-COVZC45এর ৮৯%  সাদৃশ্য রয়েছে। এই নতুন ভাইরাসের ওপর reverse-transcription PCR(RT-PCR) আর  Rapid Amplification of c-DNA ends (RACE) পরীক্ষার মাধ্যমে এর genome sequence কে নির্দিষ্ট করা হয়। গবেষণাগারে এই নতুন ভাইরাসের নামকরণ করা হল, WH-Human Corona virus (2019-nCoV)।

 

WH-Human Corona virus (2019-nCoV) এর সাথে সব থেকে নিকট সাদৃশ্য বিচার করে এই ভাইরাস কে BetaCorona Virus (SARS-CoV Tor2) প্রজাতির অন্তর্গত করা হয়। sequence alignment এর বিচারে সাদৃশ্য থাকার কারণে বাদুরের শরীরে পাওয়া করোনা ভাইরাস batSL-CoVZC45 এর সাথে তুলনামূলক পরীক্ষা শুরু হয়। ORF (Open Reading Frame) prediction এর মাধ্যমে এই তিন রকম ভাইরাসের মধ্যে যে যে মিলগুলি খুঁজে পাওয়া গেল, তা হল, replicase ORF1ab, Spike(S), Envelope (E), membrane (M), nucleocapsid (N) genome এর মধ্যে প্রায় ৭৯% মিল। গঠনগত সাদৃশ্যের বিচারে আরও অনেক মিল খুঁজে পাওয়া গেলেও এই ভাইরাসের মধ্যে সংক্রমণের প্রবণতা বা ক্ষমতা অনেক বেশী।

Shallow Focus Photography of Microscope

জেনেটিক সিকোয়েন্স আসলে কি? 

Crop chemist holding in hands molecule model

যদি সরল ভাষায় বলি, ভাইরাসের গঠনগত একক এর ব্যাখ্যা। মেট্রোতে উঠলে দেওয়ালের গায়ে একটা ষ্টিকারে পরপর স্টেশনের নাম একটা সরল রেখায় লেখা থাকে। যেমন দক্ষিন কলকাতার প্রান্তিক স্টেশন নিউ গড়িয়া থেকে উত্তর কলকাতার দমদম। এর মাঝের স্টেশন গুলি একটা সরলরেখার উপর নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে লেখা থাকে। সেটা থেকে আমরা আন্দাজ পাই আমাদের গন্তব্যের দূরত্ব বা পেরিয়ে যাওয়া স্টেশনের নাম। জীন বা শরীরের মূল একক এর গঠন ঠিক এইভাবেই একটা সরলরেখায় চিত্রিত করা হয়। একেই জেনেটিক সিকোয়েন্স বলে। ব্যাপারটা খুব সরল ভাবে বললেও যথেষ্ট জটিল। কপিরাইট এর জটিল ধাঁধার কারণে এখানে কোন ছবি দেওয়া গেল না। তবে ইন্টারনেট এর মাধ্যমে আপনারা দেখতে পাবেন। এবার আসি WHCV এর ব্যাখ্যায়। জেনেটিক সিকোয়েন্স করে যে ছবি সামনে এলো, দেখা গেলো অন্য আরও দু’রকম ভাইরাসের সাথে মিল রয়েছে। ORF (Open Reading Frame) হল একটি প্রান্ত, আর nucleocapsid (N)  অন্য প্রান্ত। এর মাঝে বাকী জীনের অস্তিত্ব দেখা যায়। এদের অস্তিত্ব কে দৈর্ঘ্য দিয়ে পরিমাপ করা হয়।

যেমন,

    

 

ORF (Open-reading Frame), ORF1a gene, ORF1b gene (nonstructural proteins), Spike (S) protein, Envelope (E) proteins, Membrane(M) proteins, Neucleocapsid(N) proteins.

 

এইসব ব্যাখ্যা জেনে কি লাভ? 

আসলে, এতদূর যখন পড়ে ফেলেছেন, শেষ অব্দি পড়ে দেখুন। এতটা ভুমিকা না দিলে করোনা রহস্যের ভিত্তিটা বোঝা সম্ভব নয়।

 

জেনেটিক সিকোয়েন্স তো পাওয়া গেল। এবার খোঁজ শুরু হল এই ভাইরাসের গতিবিধি, মানুষের শরীরে এর প্রভাব আর রোগাক্রান্ত করার পদ্ধতি সম্পর্কে খোঁজ। সব রকম সিকোয়েন্স দেখে একটা পরিষ্কার ছবি পাওয়া গেল এই ভাইরাসের উৎস কোথায়। বাদুরের শরীরে পাওয়া BatSL-COVZC45 ভাইরাসের সাথে মিল দেখে ধরে নেওয়া হল এই ভাইরাস Subgenus Sarbecovirus  গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।এই গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত করা হলেও ভাইরাসের গঠনে কিছু তফাৎ চোখে পরে বিজ্ঞানীদের। এই একই ঘরের অন্যান্য ভাইরাস গুলির মানুষের মধ্যে সংক্রমণের প্রবণতা কম। এই গোষ্ঠীর মধ্যে অন্যান্য ভাইরাস যেমন WIV1 and RsSHC014HKU1, OC43, NL63, 229E  ইত্যাদি মানুষের শরীরে সরাসরি সংক্রমণ করতে পারে। কিন্তু কোথাও গিয়ে প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য এদের সংক্রমণের ক্ষমতা কিছুটা হলেও সীমিত। 2019-nCoV  সেদিকের বিচারে অনেক বেশী আগ্রাসী। এই চারিত্রিক পরিবর্তনের জন্য ভাবা হল একই গোষ্ঠীর ভাইরাস গুলির মধ্যে জীনগত recombination এর কথা। অর্থাৎ ভাইরাসগুলি নিজেদের মধ্যে একটু একটু করে পরিবর্তন করে আরও বেশী আগ্রাসী হয়ে উঠছে। তাদের গঠনের সাদৃশ্য থাকলেও নিজেদের মধ্যে প্রোটিন অংশের কিছু কিছু পরিবর্তন ঘটিয়ে এরা অনেক বেশী শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। ঠিক যে কারণে অন্যান্য ভাইরাসের সংক্রমণের চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করেও তার স্বাভাবিক প্রতিফলন দেখা যাচ্ছেনা। বিপরীতে ভাইরাসটি যেন আরও শক্তি সঞ্চয় করে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পরছে।

 

 

করোনা ভাইরাসের খোলক এর গায়ে থাকে Spike (S) প্রোটিন। এর সাহায্যেই ভাইরাস একটি কোষ কে আক্রমণ করে। শুরু হল Receptor Binding Protein(RBD) নিয়ে গবেষণা। দেখা গেল এই নতুন করোনা ভাইরাস, SARS-CoVs ভাইরাসের মতই মানুষের শরীরে প্রবেশের জন্য ফুসফুসের মধ্যে human ACE2 receptors  কে ব্যাবহার করে। কিন্তু এখানেও নতুনত্ব। নভেল করোনা ভাইরাস তার Spike (S)  প্রোটিনের কেবল মাত্র একটি অ্যামিনো অ্যাসিড এর পরিবর্তন করে  সামান্য রূপ বদল করেছে। মানুষের শরীরে সংক্রমণ করার জন্য সে যেন আরও সাবলীল ও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আর এই পরিবর্তনের কারণেই নভেল করোনা ভাইরাস মানুষের মধ্যে সংক্রমণের ক্ষমতা দ্বিগুণ করে নিয়েছে।

 

সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য মিলিয়ে চারটি ভাইরাস এর নাম উঠে এলেও দেখা গেল WH-Human Corona virus (2019-nCoV) ভাইরাস যেন আসলে এই সব ক’টি ভাইরাসের মিলিত প্রতিফলন। ঈশ্বর যেন নিখুঁত দক্ষতার সাথে একটু একটু করে এই মারণ ভাইরাসের জন্ম দিয়েছেন। আর এই recombination এর অনবদ্য দক্ষতা দেখেই অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তাহলে এই ভাইরাস হয়ত চীনের আবিষ্কার। বিভিন্ন ল্যাব এর মধ্যে গবেষণার প্রতীক্ষিত ফসল। কিন্তু এই ধারনার সত্য মিথ্যা এখনও প্রমাণ হয়নি। তবে কোন বিবাদের কারণ হয়ত নেই। প্রকৃতি নিজের নিয়মেই এই রূপ বদল করেছে। কিন্তু এই কথা সত্য যে ভাইরাস টি আজকের একটি হঠাৎ করে ঘটে যাওয়া বিষয় নয়। এই ভাইরাসের অস্তিত্ব আসলে বহু দিন থেকে হয়ে এসেছে। এবং সম্ভবত আগেই মানুষের মধ্যে এসেছে। এই বিষয়ে বিতর্ক করার অবকাশ নেই, কারণ এতক্ষণ ধরে যে ব্যাখ্যা আমি বাংলা ভাষায় লিপি বদ্ধ করলাম। তা প্রায় ত্রিশ থেকে চল্লিশটি গবেষণা পত্রের আলোচনা। ৩রা ফেব্রুয়ারি যখন এই সব গবেষণার ফসল প্রকাশ পেল, তখন চীন সহ সারা বিশ্বে অন্ধকার নামতে শুরু করেছে। চীনে আক্রান্তের সংখ্যা তখন বিশ হাজার পেরিয়ে গেছে। ভারতে এই বিষয়ে তখন সাধারণ মানুষ কেউই ওয়াকিবহাল নয়।  

 

তবে কিছু প্রশ্ন এসেই যায়। ২০০২-২০০৩ শালে SARS মহামারী আকার নেওয়ার পর ২০০৫ থেকে চীনে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত গবেষণা শুরু হয়। ২০১২ তে MERS (Middle East Respiratory Syndrome) প্রায় মহামারীর আকার নেওয়ায় করোনা প্রতিরোধ সম্পর্কে গবেষণা শুরু হয়। ২০১৪ শালে প্রকাশিত একটি পত্রিকা থেকে জানা যায় একই গোষ্ঠীর বাদুর থেকে পাওয়া একাধিক করোনা ভাইরাস মানুষের মধ্যে সংক্রমণ করার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু তার প্রভাব ও রোগের বিস্তার সম্পর্কে কেউ নিশ্চিত ছিলেন না। এই বিষয়ে চীনে গবেষণা শুরু হয় বাদুরের শরীর থেকে ইদুরের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটানো। সার্ফেস প্রোটিনের কৃত্রিম ভাবে রূপ বদল করে এই সংক্রমণ ঘটানো হয়।

White Baby Mouse


 দেখা যায় ইদুরের ফুসফুসে ঠিক একই নিয়মে ক্ষতি করছে এই ভাইরাস যা আমরা আজ মানুষের শরীরে দেখছি। একে কাইমেরা ভাইরাস (Chimaera)  নাম দিয়ে গবেষণা চলছিল। ২০১৫ শালে নেচার পত্রিকায় প্যারিসের পাস্তুর গবেষণাগারের Virologist, Simon Wain-Hobson লিখলেন researchers have created a novel virus that “grows remarkably well” in human cells. “If the virus escaped, nobody could predict the trajectory,” 

শুধু এখানেই সীমিত নয়। এই ব্যাপারে আরও অনেক বিতর্ক ও তার সমর্থনে বহু পত্রিকা প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু সব বিতর্ক, বিতণ্ডা কে উপেক্ষা করে আড়ালে এই ভাইরাস নিজেকে আরও শক্তিশালী করেছে। আর আমাদের উদাসীনতার সুযোগ নিয়ে আক্রমণ করেছে। এই বিবাদের মীমাংসা হয়ত নেই। কিন্তু এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই এখন আমাদের কাছে সব থেকে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সব কিছুর মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে করোনা রহস্যের। যার সমাধানে আজ সারা পৃথিবীর সব ডাক্তার ও বিজ্ঞানী এক জায়গায় হয়ে নিজের জীবন কে ফাঁকি দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। আশা করি খারাপ সময় খুব তাড়াতাড়ি কেটে যাবে। আমরা আবার আমাদের স্বাভাবিক জীবন চর্যায় ফিরে আসবো।

Coveid19 Text On Paper

এখানে ব্যাখ্যা করা  WHCV/SARS Cov Tor2/ 2019-nCoV এই নাম গুলি পরবর্তী কালে WHO পরিবর্তন করে "SARS-CoV-2" করেছে এবং এই ভাইরাস সংক্রামিত রোগের নাম দেওয়া হয়েছে  COVID-19। 



(c) Arka Bhattacharya


 

 


ভালো লাগলে like ও share করবেন।
কোন তথ্যে ভুল থাকলে comment section এ  জানাবেন।



#তথ্য সুত্র
A new corona virus associated with human respiratory disease in China; 3Feb2020.
Identification of Novel Corona Virus in Severe Acute Respiratory Syndrome; 2003
Genetic characterization and infectivity of a novel SARS like corona virus in China;2018
Engineered bat virus stirs debate over risky research; Nature journal; 2015.



 


No comments:

Post a Comment

Narcissistic Personality Disorders??

Narcissistic Personality Disorders This is an era of social media. When someone posts too many selfies or pictures about their d...