কিভাবে এতদিন করোনা কে লুকিয়ে চেম্বার করছিলাম?
30-05-2020
এই মহামারীর সময় চেম্বার বন্ধ রাখার কথা চিন্তা করেই আমি নিজেকে প্রস্তুত করেছিলাম। কিন্তু কিছু কিছু রুগীর Phone পেলে, তাদের সমস্যা শুনলে আর উপেক্ষা করা যায়না। খুব বিপদ বুঝলে তবেই আমি চেম্বার গিয়েছি এবং ন্যুনতম যেটুকু চিকিৎসা প্রয়োজন সেই ব্যাবস্থা করেছি।
বাড়ি থেকে চেম্বার যাওয়ার সময় যে জিনিসগুলি আমি একদম ভুলি না সেটি হল আমার একটি Side bag। এর মধ্যে থাকে,
আমার একটি পরিচয় পত্র, (কারণ মাঝখানে পুলিশের কাছে জবাবদিহি করার একটা বিষয় ছিল)
সেইদিনে প্রয়োজন হবে সেরকম হিসেব করে খুচরো টাকা। (অতিরিক্ত টাকার প্রয়োজন হলে আমি PayTm, PhonePe, Googlepay use করেছি।
একটি ছোট Sanitizer spray বোতল।
একটি ছোট Lyzol Sprayer .
একটি অতিরিক্ত Mask, (প্লাস্টিকে মোড়ানো)
এক জোড়া অতিরিক্ত গ্লাভস, (প্লাস্টিকে মোড়ানো )
আর একটা ধোয়া টি শার্ট। (একটি প্লাস্টিকে মোড়ানো)
আর একটি অতিরিক্ত hand sanitizer ।
যে সাইড ব্যাগটি আমি ব্যাবহার করি সেটা water proof নয় কিন্তু জল বা সাবান দিয়ে ধুয়ে নিলে অসুবিধা হয়না।
ছোট Spray করার বোতল গুলি সঙ্গে নেওয়া সুবিধা। যখন প্রয়োজন spray করে নেওয়া যায়।
অতিরিক্ত মাস্ক নেওয়ার কারণ ইদানিম বিভিন্ন দালাল যে সব মাস্ক দিচ্ছে। চরা দামে সারজিকাল মাস্ক বলে কিনলেও সেই মাস্ক এর গুণগত মান খুব খারাপ। এদের কানে লাগাবার ইলাস্টিক কখন খুলে যায় তার ঠিক নেই। এই বিপদে আমি একবার নয় একাধিকবার হেনস্থা হওয়ার কারণে আমি একটা অতিরিক্ত মাস্ক সঙ্গে রাখি।
এক জোড়া অতিরিক্ত গ্লাভস নেওয়ার কারণ ও এই একই প্রসঙ্গে। শাটার খুলতে গিয়ে বা লিফট এর দরজায় লেগে অনেকবার গ্লাভস ছিরে গেছে বা ফুটো হয়ে গেছে। কাজেই সেই বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেতে এই ব্যাবস্থা। এই গ্লাভসগুলি আমি খুব দামী কিছু ব্যাবহার করি না। সাধারণ কাজের জন্য বলে এগুলি কম দামে কিনেছিলাম।
একটি আলাদা T-Shirt নেওয়ার কারণ রুগীদের মুখে কাজ করতেই হলে গায়ে থুতুর ছিটে আসে। সেক্ষেত্রে জামাটা বাতিল করে দিলে ভালো। চেম্বার থেকে বাড়ি ফেরার আগে আমি তাই আমার জামা পাল্টে নিতাম।
অতিরিক্ত sanitizerটি আমি ব্যাগের loop ঝুলিয়ে রাখতাম। রাস্তায় কোন কিছুতে হাত দিলে ব্যাগের ভিতরে হাত না দিয়ে আমার কাজ হয়ে যেত।
একটি spray বোতলে lyzol নিতাম যেখানে যেখানে হাত দিতেই হবে সেই জায়গা আগেই পরিষ্কার করে নেওয়ার জন্যে। যেমন আমার চেম্বারের বাইরের গেট। সেখানে তালা চাবি আর গেট এর হাতলে আগে ভালো করে স্প্রে করে দিয়ে আমি পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করতাম।
এরপর চেম্বারের shutterপুরোটা Lyzol spray করে নিতাম। আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে তারপর চেম্বার খুলতাম।
চেম্বারে প্রবেশের আগে নিজের পরে থাকা গ্লাভস বাইরে রাখা একটি বিনে ফেলে দিয়ে স্প্রে করে নিতাম নিজের গায়ে ও পায়ে আর আমার ব্যাগে। Deo ছড়ানোর মতই অভিজ্ঞতা, কাজেই নতুন কিছু নয়। এইসব করে জুতো ছেড়ে আমি চেম্বারে ঢুকে সবার আগে নিজের হাত ধুয়ে নিতাম সাবান দিয়ে। তারপর দোকানের চাবি।
সবার চেম্বারেই এখন garbage bags ব্যাবহার হয়। একটি bin bag এর মধ্যে নিজের Side bag রেখে একটা cupboard এ ঢুকিয়ে রাখতাম। চেম্বারে কোন রকম কাজ করলেও আমার যে ব্যাগ বাড়ি পর্যন্ত যাবে, তাকে কিছুটা হলেও secure করা গেল।
এইবার নতুন গ্লাভস আর অতিরিক্ত একটি মাস্ক চাপিয়ে চেম্বার পরিষ্কার করা ও রুগীদের বসার জায়গা পরিষ্কার করে নিতাম।
আমার ব্যাবহার করা জিনিসগুলির তালিকা নিচে দেওয়া রইল।
Dr. Arka Bhattacharya
Kolkata
Next blog; How to maintain the patient waiting area..
Arkada valo likhechho...chalie jao.
ReplyDelete