Saturday, May 16, 2020

HEPA Filters and Their Journey

দূষণ মুক্ত বাতাসের খোঁজে।

HEPA Air filter

করোনা আসার পরে আমরা প্রথম এত গভীর ভাবে অনুভব করলাম মুক্ত বাতাসে প্রশ্বাস নেওয়ার স্বাধীনতা কত প্রিয়। কিন্তু নিজেদের অজান্তে প্রকৃতির ক্ষতি সাধন করতে করতে এখন আমরা এমন এক পর্যায়ে এসে পৌঁছেছি যেখানে মুক্ত বাতাসের মধ্যে থেকেও সামান্য এক জীবাণুর ভয় মুখে সর্বক্ষণ মাস্ক পরে থাকতে হচ্ছে। হাসপাতালে ক্লিনিকে নতুন নতুন আবিষ্কৃত এয়ার ফিল্টার বসানো হচ্ছে। এই জীবাণুর হ্যাপায় মুক্ত বাতাসের জন্য এখন HEPA Filter সাহায্য নিতে হচ্ছে।

 

HEPA ফিল্টার আবার কি?

HEPA or High EfficiencyParticulate Air filter এর বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় এমন একটি বিশেষ যন্ত্র যা একটি ঘরের আবহাওয়ার মধ্যে থেকে সুক্ষাতি সুক্ষ্ম কণা, যা আমাদের স্বাভাবিক শ্বাস প্রশ্বাস এর জন্য ক্ষতিকারক, তাদের কে আটকে দিয়ে ঘরের হাওয়া কে অনেকটা শোধিত করে।

যদিও নামের বাহার ও কাজের গুণ দেখে এই যন্ত্র কে অনেক আধুনিক একটি আবিষ্কার বলে মনে হয়। কিন্তু আসলে এর জন্ম লগ্ন সেই ১৮০০ শতাব্দীতে। শিল্প বিপ্লবের সূচনা লগ্নে দূষণ মুক্ত বাতাসের জন্য বিভিন্ন যন্ত্র আবিষ্কারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত হয়। তারপর প্রায় ১৫০ বছর পেরিয়ে এই যন্ত্র আধুনিক রূপের কাঠামো পায়। এখনও বাতাস কে দূষণ মুক্ত করার জন্যে নিত্য নতুন আবিষ্কার ও খোঁজ চলছে।

 

HEPA Filter এর ইতিহাস...

আধুনিক শিল্প বিপ্লব মানুষের জীবনে সামাজিক ও বানিজ্যিক অবস্থান, অর্থনীতি, ও সাধারণ জীবন যাত্রার ওপর যেমন এক আশ্চর্য পরিবর্তন সাধন করেছিল। ঠিক সেই ভাবেই এই শিল্প বিপ্লবের হাত ধরে যে বিপদ আড়াল থেকে এসে মানুষ কে ব্যাতিবস্ত করলো তা হল দূষিত বাতাস। সেই সময়, যে কোন শিল্প ক্ষেত্রে, কয়লা ছিল জ্বালানীর একমাত্র ও প্রধান উপায় । এই কয়লা কে জ্বালানী হিসেবে ব্যাবহার করার ফলেই বাতাসে না না রকম ক্ষতিকারক উপাদান মিশতে শুরু করে। কর্ম ক্ষেত্রে মুখে রুমাল বেঁধে কাজ করা সম্ভব হলেও আশে পাশে অঞ্চলে বা গেরস্থালীতে সর্বক্ষণ মুখে মাস্ক বা রুমাল বেঁধে থাকা যায়না। এক এক জন বিজ্ঞানীর হাত ধরে শুরু হল বাতাস কে দূষণ মুক্ত করার পদ্ধতি আবিষ্কারের প্রচেষ্টা।

 

প্রথম সাফল্য।

এদের মধ্যে সব থেকে প্রথম যে দুজন বিজ্ঞানী একটা নতুন দিশা দেখিয়েছিলেন তাঁদের নাম হল জন ডীন ও তাঁর ভাই চার্লস ডীন। এই দুই ভাই স্কুলের লেখা পড়া শেষ করে বানিজ্যিক জাহাজে কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। যে কোন বন্দরে বা জাহাজের মধ্যে সব থেকে বড় সমস্যা হত আগুন লেগে গেলে। অনেকে বহু চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও বাণিজ্যিক সামগ্রী বা পণ্যের অনেক ক্ষতি হয়ে যেত।

১৮২০ শালে, ইংল্যান্ডের এক বন্দরে একদিন আগুন ধরে যায়। আগুন ক্রমে বারতে বারতে কাছেই একটি আস্তাবলে ছড়িয়ে পরে। আস্তাবলের ভিতরে তখন অনেক গুলি ঘোড়া বাঁধা অবস্থায় ছিল। বিধ্বংসী ওই আগুনের মধ্যে ঘোড়াগুলির আর্ত চিৎকারে জন নিজেকে সংযত করতে পারেন নি। জাহাজের পণ্যের মধ্যে তখন একটি নাইট যোদ্ধাদের বর্ম ছিল। জন সেই বর্ম গায়ে চাপিয়ে নেন। আর বর্মের হেলমেট এর মধ্যে তিনি একটি আগুন নেভানোর জলের পাইপ লাগিয়ে নেন। সেই পাইপ এর অন্য প্রান্ত লাগিয়ে দেওয়া হয় একটি Double bellows pump এর সাথে। এই পাম্পের সাহায্যে বাতাস পাঠানো হবে হেলমেট এর মধ্যে আর বর্মের কারণে আগুনের মধ্যে যাতায়াত করতে কোন অসুবিধা হবে না। ব্যাপারটা লিখিত ভাবে প্রকাশ করতে যত সোজা, কাজটা সত্যি সত্যি  করা বহুগুণ কঠিন। কিন্তু কথিত আছে সেদিন জন ডীন আস্তাবলের সব কটি ঘোড়াকে আগুনের গ্রাস থেকে বাঁচিয়ে নিয়ে এসেছিলেন। ব্যাস! আর ঘুরে তাকাতে হয়নি দুই ভাইকে। তাঁদের এই সাহসিকতার খবর প্রকাশ্যে আসতেই সবাই তাঁদের পদ্ধতি অনুকরণ করতে শুরু করে। তখন তাঁরা ইংল্যান্ডের বিখ্যাত জাহাজ নির্মাতা এডওয়ার্ড বার্নার্ড এর আর্থিক সহায়তায়, ১৮২৩ শালে, এই “স্মোক হেলমেট” (Smoke Helmet) বানিয়ে ফেলে। এই হেলমেট আবিষ্কারের মূল উদ্দ্যেশ্য দমকল কর্মীদের জন্যে হলেও এর খ্যাতি চারিদিকে ছড়িয়ে পরে এবং অল্প দিনের মধ্যেই অনেক বিজ্ঞানী এই বিষয়ে গবেষণা শুরু করে দেন। ১৮২৭ খ্রিষ্টাব্দে এই একই পদ্ধতি অবলম্বন করে অগাস্টাস সিবে, প্রথম ডুবুরিদের জন্য বিশেষ পোশাক তৈরি করেন।

 

আধুনিক স্মোক হেলমেট এর পূর্ব পুরুষ।

জন ডীন ও চার্লস ডীনের আবিষ্কার তখন আরও নতুন নতুন ভাবে ব্যাবহার করা শুরু হয়েছে। একই পদ্ধতি অবলম্বন করে গভীর জলের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ কাজ করার জন্যে আবিষ্কার হয়েছে বিশেষ ডুবুরির পোশাক। সাফল্যের সাথে সেই পোশাক এর ব্যাবহার ও ক্রমে প্রচার পেল। এই সময় ১৮৫৭ শালে স্কটিশ বিজ্ঞানী জন স্টেনহাউস তাঁর গবেষণাগারে চারকোল এর একটি বিশেষ গুণ আবিষ্কার করেন। কাঠ কয়লার সাহায্যে বাতাসের মধ্যেকার দূষিত পদার্থ দূর করা যায়। আবিষ্কার তো করলেন কিন্তু প্রয়োগ করবেন কোথায়?

সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্মেছিলেন জন স্টেনহাউস। বাবার সম্পত্তির বেশীর ভাগ অংশের সদ ব্যাবহারে তাঁর জীবনে সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের কোনদিন অভাব হয়নি। কিন্তু সব কিছুর একটা শেষ আছে। দেখতে দেখতে পৈতৃক সম্পত্তির সঞ্চয় ও ফুরিয়ে আসে। ১৮৫০ এ তাঁর বাবার প্রতিষ্ঠিত বহু পুরানো নগদ লেনদেনের ব্যাবসা ডুবে যাওয়ায় উনি নিজের কাজের দিকে মন দিলেন। ছাত্রাবস্থায় রসায়নের কৃতি ছাত্র যোগ  দিলেন একটি কলেজে অধ্যাপনার কাজে। ক্রমে নানা বিপর্যয়, সংঘাত ইত্যাদি অতিক্রম করে অবশেষে নিজের একটি কারখানা স্থাপন করলেন। ইতিমধ্যে একবার স্ট্রোক হয়ে যাওয়ার কারণে তিনি প্রায় পঙ্গু হয়ে পরেছিলেন। বিভিন্ন কলেজের কৃতি ছাত্রদের নিয়ে তিনি নিজের কাজ চালিয়ে গেলেন। চিনি তৈরির পদ্ধতি, আঠা, কাপড়ের ওপর রঙ কে স্থায়ী করার পদ্ধতি আবিষ্কারের সাথে সাথে আবিষ্কার করে ফেললেন একটি বিশেষ মুখোশ। কাঠ কয়লার বিশেষ শোষণ ক্ষমতার গুণকে কাজে লাগিয়ে উনি জন ডীন এর স্মোক হেলমেট কে সংশোধিত করলেন। যাত্রা শুরু হল চারকোল রেস্পিরেটর আর চারকোল এয়ার- ফিল্টার এর। (Charcoal respirator or Charcoal Air-filter)  

 

১৮৭১, দূষিত বাতাস ও জন টিন্ডাল।

বিখ্যাত গবেষক গবচন্দ্র, না না! বিখ্যাত গবেষক মাইকেল ফ্যারাডের বন্ধু জন টিন্ডালের নাম আমরা একটু হলেও জানি। চট করে মনে পরতে চাইছে না? স্মৃতির পাতায় বেশিদূর নয়, ওই ক্লাস সেভেন এ ফিরে যান। আমরা যারা বাংলা মিডিয়ামে পড়েছি তাঁদের ছাত্রাবস্থায় একটি নতুন বিষয়ের শিক্ষা শুরু। ভৌত বিজ্ঞান! আর এর একটি অধ্যায় ছিল দ্রবণ। আর সেখানেই আমাদের আলাপ এই জন টিন্ডালের সাথে। তাঁরই আবিষ্কার টিন্ডাল এফেক্ট। কোন দ্রবণের মধ্যে দিয়ে আলো যাওয়ার সময় বিক্ষিপ্ত হয় দ্রবণে ভেসে থাকা কণার জন্য। আর তাই আলোর গতিপথ দেখতে পাওয়া যায়।

অন্যান্য বহু আবিষ্কারের মধ্যে টিন্ডাল সাহেব একদিন একটি বিশেষ যন্ত্র আবিষ্কার করে ফেললেন। লুই পাস্তুর তখন প্রথম জীবাণুর সংজ্ঞা কে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। খোলা বাতাসের মধ্যে যে কোন জৈব পদার্থে পচন ধরে বাতাসে উপস্থিত জীবাণুর কারণে। টিন্ডাল সাহেব বাতাসের মধ্যে দিয়ে আলোর গতিপথ নিয়ে না না গবেষণা করছিলেন। তিনি কল্পনা করলেন এমন একটি বাতাসের যা কিনা যে কোন ভাসমান উপাদান থেকে মুক্ত হবে, অপটিক্যালি পিউর এয়ার (Optically Pure Air)। একটি ছোট কাঠের বাক্সে তিনি কিছু কাঁচের স্ল্যাব পর পর একটি বিশেষ দূরত্বে সাজিয়ে রাখলেন। এই স্ল্যাব গুলির ওপর আর কাঠের বাক্সের ভিতর দিকে তিনি গ্লিসারিন এর একটি আস্তরণ লাগিয়ে দিলেন। কিছুদিন বাদে ওই বাক্সের গায়ে একটি কাঁচের জানলা দিয়ে আলো ফেলতে উনি প্রথম অপটিক্যালি পিওর এয়ার এর সন্ধান পেলেন। অর্থাৎ ওই বাক্সের ভিতরের বাতাসে কোন ভাসমান কণার অস্তিত্ব নেই। গ্লিসারিনের আস্তরণ আসলে বাতাসের সমস্ত কণা কে আটকে দিয়ে একটি আপাত শুদ্ধ বাতাসের সৃষ্টি করেছে।

নিজের পরীক্ষার সাফল্য কে নিশ্চিত করার জন্যে উনি লুই পাস্তুরের গবেষণার সাহায্য নিলেন। বাতাসের মধ্যে যদি সত্যি জীবাণু থেকে থাকে, তাহলে এই পরীক্ষা প্রমাণ হবে যে আদৌ ওই বাক্সে শুদ্ধ বাতাস তৈরি হয়েছে কি না। এক টুকরো মাংস খণ্ড কে তিনি গরম জলে ভালো করে ফুটিয়ে নিলেন। তারপর কাঁচের বাক্সের বাতাস কে ভালো ভাবে দূষণ মুক্ত করে তিনি সেই মাংস খণ্ড রেখে দিলেন বাক্সের ভিতরে। কথিত আছে, এই প্রথম পরীক্ষায় প্রায় শুদ্ধ বাতাস পূর্ণ ওই বাক্সের মধ্যে মাংস খণ্ডটি এক মাসের কিছু বেশী সময় অব্দি ভালো ছিল। কোন পচন শুরু হয়নি। তাঁর এই পরীক্ষা কে জন সমক্ষে আনার জন্যে তিনি আপিল করলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সেই প্রথম দিনের পরে তিনি যতবার এই পরীক্ষা করেছেন, ততবার বিফল হয়েছেন।

না না, রায় ও মারটিন এর সহায়িকা সেই সময় ছিলনা বলে বিফল হয়নি। সাফল্যের পথে বাঁধা ছিল Endospore। গরম জলে ফুটিয়ে নেওয়ার কারণে মাংস খণ্ডে ব্যাকটেরিয়া কিছু অবশিষ্ট ছিল না বটে। কিন্তু কিছু ব্যাকটেরিয়ার Spore বা Endospore গরম জলের মধ্যেও মরে না। এই Endospore কে নির্মূল করার জন্যেই আবিষ্কার হল টিন্ডালাইজেশন। আধুনিক ডাক্তারি ভাষায় অটোক্লেভ করা। অর্থাৎ ১২১ ডিগ্রি তাপমাত্রায় জলীয় বাষ্প ১৫psi বাতাসের চাপে যে কোন বস্তুকে সম্পূর্ণ রূপে জীবাণু মুক্ত করা যায়। আর ঘুরে তাকাতে হয়নি জন টিন্ডাল কে। তিনি তাঁর অপটিক্যাল পিওর বাতাস আবিষ্কারের যন্ত্রের সাহায্যে সবাইকে বিশ্বের প্রথম এয়ার- ফিল্টার উপহার দিলেন।

 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আর এয়ার ফিল্টার???

১৮৭৬ শালে টিন্ডাল সাহেবের এয়ার ফিল্টার সাফল্য সহ বাজারে চলে আসার পর থেকে বিভিন্ন কারখানা, খনি অঞ্চল ইত্যাদি জায়গায় এর অবাধ ব্যাবহার শুরু হয়ে যায়। কিন্তু এই যন্ত্র বানানো যেমন ব্যায়বহুল ছিল সেরকমই ভারি ও বিরাট আকারের ছিল। একেই নতুন রূপ দেওয়ার পদ্ধতি আবিষ্কারে তাই বহু বছর কেটে যায়। এরপর আসে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। গোটা বিশ্বের মানচিত্রে অনেক রদবদল। কিছু বছর যেতে না যেতেই শুরু হয়ে গেল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। এই সময় অর্থাৎ ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দে আমেরিকা একটি বিশেষ অস্ত্র নির্মাণের কাজে হাত দিয়েছে সদ্য। সারা বিশ্ব থেকে শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক, কারিগর, অধ্যাপক সবাই এসে যোগদান করছেন এই যুগান্তকারী কর্ম কাণ্ডের সঙ্গে। সরকারী তরফে এই কাজের নাম দেওয়া হয়েছিল ম্যানহাটান প্রজেক্ট। বিশ্বের প্রথম পারমাণবিক বোমার সৃষ্টি। এখানে কর্মচারীদের সুরক্ষার কথা ভেবে বাতাস থেকে তেজস্ক্রিয় পদার্থ মুক্ত করার জন্য সাধারণ এয়ার ফিল্টার কে বিশেষ রূপ দেওয়া হয়। আমেরিকান বিজ্ঞানীরা এই নব নির্মিত এয়ার ফিল্টার এর নাম দিলেন হেপা (HEPA) ফিল্টার, High Efficiency Particulate Air Filter.  

অত্যাধুনিক এয়ার ফিল্টারের যাত্রা শুরু এই হেপা ফিল্টারের হাত ধরে। এর পর ১৯৬৩ তে জার্মান বিজ্ঞানী ক্লাউস হামেজ হেপা ফিল্টারের বেশ কিছু সংশোধন করেন এবং যন্ত্রের একটি সরল রূপ দেন। আমেরিকায় তখন ব্যাক্তিগত ভাবে ঘরের মধ্যে রাখা যাবে এমন আকারের হেপা ফিল্টার বানানো শুরু হয়ে গেছে। তাঁরা তখন ক্লিন এয়ার অ্যাক্ট নামের একটি আইন ও প্রণয়ন করেছেন আমেরিকা জুড়ে।  বিভিন্ন সুনাম, দুর্নাম, ও অনামি কোম্পানি বীর দর্পে এই কাজে ঝাঁপিয়ে পরল। কারণ আর কিছুই নয় কঞ্জিউমার। গোটা আমেরিকায় তখন ক্লিন এয়ার অ্যাক্ট এর জন্য এয়ার ফিল্টারের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। (১৯৫৬ তে ইংল্যান্ডে প্রথম এই আইন পাশ হয়।) ঘরে ঘরে একটি করে এয়ার ফিল্টার লাগাতে তখন সবাই উৎসুক। কিছু কোম্পানি শুধুমাত্র এই এয়ার ফিল্টার বানিয়েই খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছিল।  

এর পরে ১৯৯০ শালে অস্টিন এয়ার প্রথম আধুনিক হেপা ফিল্টারের একটি নতুন রূপ দিলো। এর আগে সব এয়ার ফিল্টার এক দিক থেকে দূষিত বাতাস টেনে নিয়ে অন্য দিক থেকে শোধন করা বাতাস ঘরের মধ্যে দিত। অস্টিন কম্পানির এই নতুন এয়ার ফিল্টার ৩৬০ ডিগ্রি ক্ষেত্র থেকে হাওয়া টেনে নিয়ে শোধন করতে পারবে। ২০০০ শাল থেকে ক্রমে এয়ার ফিল্টারের সাথে একটি একটি করে নতুন বৈশিষ্ট যোগ হয়েছে। Ionization, Ultra-violet lighting, Activated carbon, Ozone generation, prophylactic oxidation, আরও কত কি।

 

যা বোঝা গেল তাহলে, হেপা ফিল্টার শুধু করোনার জন্য নয়। এর গুরুত্ব বহুদিন আগে থেকেই ছিল। ক্রমশ নিজেকে আরও সুসজ্জিত করে আজেকের দিনে আমরা হেপা ফিল্টারের এই রূপ দেখতে পাচ্ছি। চেম্বারের জন্য যখন কিনছেন এবার হয়ত একটু সুবিধা হবে জিনিসটির সম্পর্কে একটা সম্যক ধারণা করতে। আর আমার এই লেখার সাফল্যে আমি রায় ও মারটিন, ছায়া প্রকাশনী কাউকে ধন্যবাদ দিতে চাইনা। চোতা করে তথ্য সাজাতে সাহায্য করেছে উইকিপিডিয়া। গল্পের সূত্রধর, ও রচনা বিস্তারে আমি স্বয়ং।


(C) পাগলা দাশু

যদি সম্ভব হয় কমেন্ট করে জানাবেন কেমন লাগলো। 
ভালো লাগলে লাইক ও শেয়ার করবেন।
আমার লেখা অন্যান্য বিষয়।


(C) Dr. Arka Bhattacharya,2020-2025. 

 

  

 


No comments:

Post a Comment

Narcissistic Personality Disorders??

Narcissistic Personality Disorders This is an era of social media. When someone posts too many selfies or pictures about their d...